পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় খুলনা মহানগরীর বয়রাস্থ বনবিভাগের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সকল পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন বন্ধ রাখা হয়েছে। মোংলায় এই সেক্টরে ৫ হাজার মানুষ রয়েছে। এছাড়া সেক্টরে ৩০ হাজার মানুষ সম্পৃক্ত রয়েছে। গত সাত মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়া না হলে খুলনা ও ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন’র সভাপতি মঈন জমাদ্দার বলেছেন, সুন্দরবনে পর্যটন মৌসুম শুরু হয় সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে। কিন্তু করোনার প্রভাবের কারণে গত মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার না হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ট্যুর অপারেটরগুলো। তিনি অবিলম্বে সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে সুন্দরবনের ভেতর পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি চরম আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন লঞ্চ, ট্রলার মালিক, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন-সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫হাজার মানুষ। বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন দেখার আগ্রহের শেষ নেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। প্রতিবছর কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় করেন সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। করোনার কারণে সুন্দরবনের ভেতর পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি প্রত্যাহার না হওয়ায় পর্যটকশূন্য দর্শনীয় স্থানগুলো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন’র সাধারন সাধারণ নাজমুল আজম ডেভিট বলেন, ভ্রমণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই খাত-সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে ট্যুর অপারেটরগুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান তিনি জানান।
মানববন্ধন কর্মসুচিতে আরও বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি আল আমিন লিটন, কচি জমাদ্দার, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, শাহ জামাল পাপলু, সাহেদ মো. ইমরান, গোলাম রহমান বিটু, মিজানুর রহমান মিজান প্রমূখ।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত ১৯ মার্চ পুরো সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবন জুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নির্দেশনা ছিল।
খুলনা গেজেট / এমএম