মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জিয়া গংরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার হরণ করেছিলো। আজ তার সন্তান এ হত্যার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমরা বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে পারতো না। কোথাও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা যেতো না। বাংলাদেশের ইতিহাসকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিলো ঘাতকেরা। কিন্তু আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। গৃহহীনকে গৃহ দান, নিরান্নকে অন্ন দান এবং সন্ত্রাস মুক্ত করে মানুষকে নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আজ আমাদের শোকের দিনে শপথ নিতে হবে ওই সকল দেশ বিরোধী শত্রুদেরকে প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, শহীদ আবু নাসের ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ,মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলর আব্দুূল ওয়াদুদ, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, রনজিত কুমার ঘোষ, মীর বরকত আলী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, মো. মোক্তার হেসেন, এ্যাড. এনামুল হক, আকবর হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারী, চ . ম মজিবুর রহমান, বাদল সরদার বাবুল, মোঃ জাহিদ হোসেন, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, সেলিম মুন্সি, মোঃ জাকির হোসেন, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, আউয়াল হোসেন ছোটন, রোজী ইসলাম নদী, কবীর পাঠান, সবনম সাবা, নূরানী রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, রেখা খানম, মেহজাবিন খান, আঙ্গুরী বেগম, ফেরদৌস আলম রীতা, নাজনিন নাহার বিউটি, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা সুলতানা বিথী, রওশন আরা রিমা, মো. শহীদুল হাসান, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, এম এ হাসান সবুজ, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, শহীদ আবু নাসের ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আ খ ম জাকারিয়া ও হাফেজ মো. আব্দুর রহীম খান।