প্রথম তিন ওভারেই তারা হারিয়েছে তিন টপ অর্ডারকে। মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে রীতিমত উইকেটে টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক ব্যাটারদের।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। প্রথম ৫ ওভারেই তারা হারিয়েছে চার টপ অর্ডারকে। মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে রীতিমত উইকেটে টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক ব্যাটারদের।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে বাজে পারফরম্যান্সের রেশ মুছে দেয়ার মিশনটাই যেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল টাইগারদের মূল লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্যে বল হাতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে মোসাদ্দেক-মাহেদীরা।
শুরুটা হয় ইনিংসের প্রথম বল থেকেই। মোসাদ্দেক হোসেনের ওয়াইড লেন্থের বল বড় শটে পরিণত করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ধরা দেন রেগিস চাখাবা।
সেই ওভারের শেষ বলে মাহেদী হাসানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়েসলি মাদেভেরা। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরও একটি উইকেট তুলে নিয়ে রোডেশিয়ানদের প্রবল চাপে ফেলেন সৈকত। এবারে তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভেইন।
পঞ্চম ওভারে আবারও বল হাতে মোসাদ্দেক। ওভারের চতুর্থ বলে ফেরান শেন উইলিয়ামসকে। ৮ রানে ফেরার সময় জিম্বাবুয়ের দলীয় রান ৫ ওভারে চার উইকেটে ২০।
জিম্বাবুয়ের শিবিরে ম্যাচের সপ্তম ওভারে আবারো আঘাত হানেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি এই স্পিনারের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা দেন মিল্টন শুম্বা। আর তাতেই ক্যারিয়ারের সেরা বলিং ফিগারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাচ উইকেটের কোঠা পূর্ণ হয় সৈকতের।
৭ ওভারে শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটের খরচায় ৩২ রান।
খুলনা গেজেট / আ হ আ