চাহিদা মতো জ্বালানি তেলের সরবরাহ পাচ্ছে না খুলনার পাম্পগুলো। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকটি ফিলিং স্টেশন মালিক। অপরদিকে ফিলিং স্টেশন মালিকদের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ডিপো কর্তৃপক্ষ।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনার খালিশপুর এলাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেলের ডিপো থেকে খুলনাসহ আশপাশ জেলার পাম্পগুলোতে তেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ মাসের শুরুতে এ ডিপোগুলোতে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা সংকট দেখা দেয়। ফলে চাহিদা মতো খুলনার পাম্পগুলো জ্বালানি তেল পাচ্ছেনা। পাম্প মালিক সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ৩০ টি পাম্প রয়েছে।
নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে কেসিসি পেট্রোলিয়ামের সুপারভাইজার মো: মুজিবর রহমান বলেন, পদ্মা তেল কোম্পানীর অধিনস্ত এ পাম্পটি। জুলাই মাসের শুরু থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি চাহিদার তুলনায় অকটেন ও পেট্রোল কম পাচ্ছে। একদিন পেট্রোল দিলে সেদিন ডিপো থেকে অকটেন পাওয়া যায় না। ৬ হাজার লিটার অকটেন চাইলে ডিপো থেকে ৪ হাজার লিটার দিচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে ডিপো কর্তৃপক্ষ কোন উত্তর দিতে পারেনি।
খুলনা মেট্রোপলিটন ফিলিং স্টেশন মালিক ও পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস বলেন, চাহিদা মতো তার পাম্প জ্বালানি তেল পাচ্ছে না। দেশে জ্বালানি তেলের মজুদ কমে গেছে। সমগ্র বিশ্বে তেলের ব্যাপারে অস্থিতিশীল পরিবেশ চলছে। কতদিন ধরে এ অবস্থা থাকবে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তবে সংকট দিন দিন প্রকট হতে চলেছে।
বাগেরহাট জেলার লখপুর আল আরাফা ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার ফারুখ হোসেন মোল্লা বলেন, ডিপোগুলো আমাদের ঠিক মতো তেল দিচ্ছে না। এক সপ্তাহ দিলে পরের সপ্তাহে দেয় না। তিনি জেনেছেন ডিপোগুলোতে তেলের সংকট রয়েছে। তেলবাহী জাহাজ সঠিক সময়ে আসছে না। জ্বালানি তেল নেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপোগুলো তাদের রেশনিং পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
পদ্মা ওয়েল কোম্পানী খুলনার অপারেশন ইনচার্জ পিয়ার আহমেদ বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের অভিযোগ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের সরবরাহের কোন সংকট নেই। পাম্প মালিকদের চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ করা হচ্ছে।