আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বেশ তুঙ্গে। প্রার্থীরা যে যার মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও তাই। এবার নিয়ে চতুর্থ মেয়াদে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন বলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে যারা তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের এক হাত নিয়েছেন সাবেক ফুটবল তারকা।
কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা জায়গায় কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা হচ্ছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি মানববন্ধনও হয়েছে। এর জবাবে বুধবার বাফুফে ভবনে বসে সালাউদ্দিন বলেছেন,‘আমাকে নিয়ে যখন আলাপ হয় এর অর্থ দাঁড়ায় আমি জনপ্রিয়। আসলে আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নাই। আমি জানি না, আমাকে অফিস বলে।’
সমালোচনাকারীদের ভুলও ধরেছেন বাফুফের তিনবারের সভাপতি,‘একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখছি। ধরেন এক হাজার ডিসলাইক আসলো সেখানে(ফেসবুকে)। নাম আসছে কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। আপনারা সবাই আমার নাম জানেন। এখন এক হাজার লোক তো ভুল করতে পারে না। তার মানে আমি বুঝছি একটা প্ল্যাটফর্ম এই প্রচারণা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনারা জানেন ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম করা কোনও ব্যাপারই না। এক হাজার লোক তো আমার নাম ভুল করতে পারে না। দুই-চার জন করতে পারে। এ কারণে আমি এটাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না।( আমি বুঝতেছি দিস ইজ প্রফেশনালি ডান।)’
তার চতুর্থবার নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও সালাউদ্দিন তা তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘কারা বলে? যারা ফুটবল খেলাই দেখেনি গত ১০ বছরে। কারা বলে? রাস্তা থেকে ৪-৫ টা ছেলে এসে বলে। আপনি ওই লোককে (পারসন) দেখান যারা রেগুলার ফুটবল দেখছে। ফুটবলের সঙ্গে জড়িত।’
সাবেক ফুটবলারদের একটি অংশের বিপক্ষে তার ব্যাখ্যা, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার (ক্লিয়ার) ৫ থেকে ৬ থেকে জন সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় প্রতিটি টিভিতে একই কথা ঘুরে ঘুরে বলে। এই পাঁচজন প্রতিবার নির্বাচন করে। নির্বাচনে ১২,২০,৩০ ভোট পায় তারা। ওদের যদি এতই যোগ্যতা থাকতো তাহলে ওরা এখানেই আসতো। টেলিভিশনে থাকতো না। নির্বাচন করে এখানেই (বাফুফের কমিটিতে) আসতো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর