বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ঋণ চেয়ে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গিয়েছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।
ওদিকে, অর্থনৈতিকভাবে চরম দৈন্যদশায় রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাও। গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে দেশটি। পুনরুদ্ধার কর্মসূচির জন্য এখন আইএমএফ এর সঙ্গে আলোচনা করছে শ্রীলঙ্কা। এমন এক মুহূর্তে আইএমএফ এর কাছে বাংলাদেশের ঋণ চাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই শ্রীলঙ্কাতেও ব্যাপক কৌতুহল এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে এই খবর প্রকাশ করেছে।
শ্রীলঙ্কার সামাগি জনা বালওয়েগায়া (এসজেবি) দলের নেতা, বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক অর্থনৈতিক সংস্কার ও জনবিতরণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হর্ষ ডি সিলভা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেনঃ
“কি ধরনের বৈপরীত্য! বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সুবিধা চেয়েছে কারণ তাদের রিজার্ভ ৪৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। আমি ২০২০ সাল থেকেই গোটাবাইয়া রাজাপাকসের (সদ্য ক্ষমতাচ্যুত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট) গভর্নর কাবরালকে (শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিথ নিভারদ কাবরাল যিনি গত এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেছেন) বারবার আইএমএফ-এর কাছে যেতে বলেছিলাম। আমাকে নিয়ে মস্করা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ‘সহজ সমাধান’ রয়েছে।
ওই টুইটের সাথে হর্ষ ডি সিলভা মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটও পোস্ট করেছেন যার শিরোনামঃ
“সূত্র বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আইএমএফ এর কাছে ‘বেইল আউট’ চাইছে।”
খুলনা গেজেট/ এস আই