দুই দিনের ব্যবধানে দিঘলিয়া থানা পুলিশ বন্দুক, পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিংসহ বিপুল পরিমাণ ডাকাতির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এডিশনাল এসপি (প্রশাসন) মোঃ তানভীর আহন্মেদ আজ (মঙ্গলবার) ২৬ জুলাই দুপুর দুইটায় স্থানীয় সাংবাদিকদের অস্ত্র উদ্ধার, আসামী গ্রেপ্তার এবং এ অভিযান পরিচালনার প্রেস ব্রিফিং করেন। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় ডাকাতি এবং অস্ত্র পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ জুলাই বেলা পৌনে ৩ টার সময় গোপন সূত্রে দিঘলিয়া থানা পুলিশ জানতে পারে দেয়াড়া গ্রামাস্থ রিনা বেগমের ভাড়া বাসায় একদল সশস্ত্র ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলা পুলিশ ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা দেয়াড়া কলোনি এলাকা ঘেরাও করে এবং মোঃ রাজিব হোসেন (২৮) এবং মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৪) নামে ২ জনকে আটক করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১টি একনলা বন্দুক, ৫ রাউন্ড গুলি, একটি রামদা, একটি ছোড়া, দুটি স্লাই রেঞ্জ, একটি লোহার হাতুড়ি, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি ছোট ব্যাগ, একটি কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ উদ্ধার করে। ধৃত রাজীব হোসেনের পিতার নাম মৃত সুলতান সরদার। বাড়ি খানজাহান আলী থানা যোগীপোল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজিব গত দুই মাস পূর্বে দেয়াড়া কলোনি এলাকায় রিনা বেগম এর বাড়িতে স্ত্রীসহ বাসা ভাডা নেয়। ধৃত অপর যুবক ইসমাইলের বাড়ি সেনহাটী (রেজার মোড়) এলাকায়।
একদিন রাতে ধৃত আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এর একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ ইসমাইল হোসেন স্বীকার করে যে তার হেফাজতে আরো একটি অস্ত্র আছে। আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই দিন রাতেই পুলিশ সুপার মোহান্মদ মাহবুব হাসান বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “এ”সার্কেল এস এস রাজু আহন্মেদ, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ আসামি সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ইসমাইল হোসেন এর দেখানো মতে সেনহাটি মদিনা মসজিদের সামনে (৭ নং ওয়ার্ড) মানিক ফকিরের বাড়ি হইতে রাত সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিং উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এডিশনাল এসপি মোঃ তানভীর আহন্মেদ আরো জানান,আসামিদের রিমান্ড গ্রহণসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গতকালের দেয়াড়া কলোনি অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার, এসআই আজিজ মাহমুদ, সঞ্জিত সাহা, রানা প্রতাপ ঘোষ, মফিজুল ইসলাম, অনুপ ধর, শাহাবুদ্দিন, এ এস আই নাসিরুদ্দিন, দেবাশীষ, শ্যামল ও জাহিদুল ইসলাম।