চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত, প্রক্টরের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে মধ্যরাতেও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপাচার্য ভবনের সামনে তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
তিন দিন আগে ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের রাতে হলে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়।
আজ রাতে প্রীতিলতা হলের একদল ছাত্রী এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতারের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রীদের আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রীদের দাবিগুলো হলো
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ১. অকার্যকর যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর করা। ৩. রাত ১০টার আগে হলে প্রবেশের নির্দেশ বাতিল করা। ৪. চার দিনের মধ্যে চলমান সব হেনস্তা ইস্যুর বিচার করা।
গত রোববার রাত সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ রেখে দুজনকে ছেড়ে দেন ওই তরুণেরা।