খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

খুলনায় বাড়ছে অপরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্প, স্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কা

একরামুল হোসেন লিপু

খুলনা শহর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোর খাল, ডোবা এবং জলাশয়গুলো প্রতিনিয়ত ভরাট করা হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। স্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কা বাড়ছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন প্রাণপন চেষ্টা করেও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে থেকে রক্ষা করতে পারছে না।

আবাসন ব্যবসায়ীরা খুলনা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে জমির মালিকদের কাছ থেকে নীচু জমিগুলো কম মূল্যে ক্রয় করে জলাশয় ভরাট করে একাকার করে ফেলছে। এরপর তারা অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক প্রকল্প তৈরি করে প্লট করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) সূত্রে জানা যায়, খুলনা শহরে অনুমোদিত কোন বেসরকারি আবাসন প্রকল্প নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ অনুমোদন বিহীন ভাবে তারা এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সরকারি নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক প্রকল্প গুলো তৈরি করছে। নিয়ম রয়েছে কোন আবাসিক প্রকল্প তৈরি করতে হলে মেইন রোড থেকে ৬০ ফুট প্রশস্ত রোড থাকতে হবে এবং এর শাখা-প্রশাখার রোড গুলো হতে হবে ৪০ ফুট প্রশস্ত। আবাসিক প্লট তৈরীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ ফুট চওড়া প্রশস্ত রাস্তা থাকতে হবে। আবাসন প্রকল্পগুলের ভিতর খেলার মাঠ শিশুদের জন্য পার্ক, সুইমিং পুল এবং ফুটপাতে ওয়াকওয়ে রাখতে হবে। কিন্তু খুলনার অনুমোদনবিহীন আবাসন ব্যবসায়ীরা উপরোক্ত নিয়মগুলি না মেনে ইচ্ছামাফিক এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেডিএর এক কর্মকর্তা খুলনা গেজেটকে জানান, কেডি এর আওতাধীন ৮০ টা তালিকাভুক্ত আবাসন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র ৪ জন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ’র) তালিকাভুক্ত আবাসন ব্যবসায়ী।

ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন এসকল আবাসন ব্যবসায়ীদের প্রায়ই কেডিএ ভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সঙ্গে সভা, সেমিনার, কর্মশালা করে আবাসন সম্পর্কিত আইন কানুনগুলো অবহিত করা হচ্ছে এবং তাদেরকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্ত এত কিছু করার পরও তাদের অনীহা রয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!