নড়াইলের লোহাগড়ায় সুমি বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে তার স্বামী ও স্বজনরা অসুস্থ অবস্থায় লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ওই গৃহবধূ উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ও লোহাগড়া পৌর এলাকার কুন্দশী গ্রামের কুদ্দুস শেখের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় একুশ বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার ফকিরের চর গ্রামের মৃত কাদের ফকিরের ছেলে সাহাবুদ্দিনের সাথে সুমির বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১০ বছর বয়সী ছেলে ও ১৯ বছরের মেয়ে রয়েছে।
গৃহবধূর ভাই সোহেল অভিযোগ করে বলেন, সুমির বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো। প্রায়ই তার স্বামী তাকে বেধড়ক মারপিট করতো। আমাদের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিভিন্নভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। বোনের সুখের কথা ভেবে আমি দফায় দফায় টাকা দিয়েছি। গত কয়েকমাস আগেও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।
গৃহবধূর স্বামী সাহাবুদ্দিন নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে ঠান্ডা-জ্বরে ভূগছিলেন। শারীরিকভাবে খুব দুর্বল ছিল। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে বাথরুমের পাশে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে ঝুলে থাকতে দেখে আত্মচিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে নিচে নামিয়ে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার প্রান্ত সরকার জানান, সুমি নামের একজন গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার এসআই রাজিব হোসেন হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ