পদত্যাগপত্র খারিজ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র খারিজ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্রাঘি জানান, তার জোট সরকার আস্থা হারিয়েছে। তাই তিনি পদত্যাগ করতে চান। সেই মতো রাতে প্রেসিডেন্টের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এর পরেই প্রেসিডেন্ট সার্জিও জানিয়ে দেন, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছেন না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাকে পার্লামেন্টে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সিনেটের আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু দ্রাঘির জোট সরকারের সঙ্গী ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ এই ভোটে অংশ নেয়নি।
এর পরই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, জোট সরকার আর ঐকমত্যে নেই। তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে জানিয়ে দেন, রাতেই প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
দ্রাঘির পদত্যাগপত্র যদি প্রেসিডেন্ট গ্রহণ করতেন তবে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে ভোটের পথে হাঁটতে হতো ইতালিকে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
প্রেসেডেন্ট ইতালির করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি ও দেশটির স্থানীয় অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে মারিওকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। এখন তিনি মারিওকে পদত্যাগ না করে পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার আসল চিত্র তুলে ধরতে বলেছেন।
ফাইভ স্টার পার্টি চায় ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতিকে যেভাবে উসকে দিয়েছে, তাতে ভুক্তভোগী মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার। তারা এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক খাতে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ প্রকল্প চেয়েছিল।
কিন্তু তাতে রাজি হননি মারিও। মূলত এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার ওপর প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের প্রভাব পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মারিও দ্রাঘি আগামী বুধবার বুধবার পার্লামেন্টে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।