আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন শহিদুল ইসলাম। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় বাংলাদেশের ২৭ বছর বয়সী এই পেসারকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শহিদুলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
সব ধরনের ক্রিকেটে ১০ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন শহিদুল।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি শহিদুলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার খবর প্রকাশ করে। সেখানে জানানো হয়েছে, আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোডের ২.১ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন এই পেসার।
২০২১ সালে বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শহিদুল। জাতীয় দলের সাথে ছিলেন দীর্ঘ সময়। চোটের কারণে ছিটকে পড়ার আগে চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য আসরে দেখিয়েছেন নজরকাড়া পারফরম্যান্স।
শহীিদুলের ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে গত ২৮ মে থেকে, যেদিন তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নেন। সে হিসেবে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ আবারও খেলতে পারবেন শহিদুল।
শহিদুলের ইউরিনের নমুনায় ক্লোমিফিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সির নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় রয়েছে। আইসিসির আউট অব কম্পিটিশন টেস্টিং প্রোগ্রামের আওতায় শহিদুল তার ইউরিনের নমুনা সরবরাহ করেছিলেন। সেখানে পাওয়া ক্লোমিফিন ইন-কম্পিটিশন ও আউট-কম্পিটিশন দুই পর্যায়েই নিষিদ্ধ।
শহিদুলের দেহে এই নিষিদ্ধ বস্তুটি প্রবেশ করেছে মনের অজান্তে। অসাবধানতাবশত একটি ওষুধ সেবন করেন তিনি, যা চিকিৎসার উদ্দেশে চিকিৎসকই তাকে দিয়েছিলেন। সেখানেই ছিল নিষিদ্ধ ক্লোমিফিন। শহিদুল জানিয়েছেন, নিজেকে উদ্দীপ্ত করার জন্য বা শক্তিবর্ধক হিসেবে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহারের ইচ্ছা তার ছিল না।
খুলনা গেজেট / আ হ আ