রাজনীতির মাঠে নতুন দল আত্মপ্রকাশ করছে। ভ্রুণাবস্থার এ দলটি মার্কসবাদী দর্শনের। তারা শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা ও সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনে বিশ্বাসী। দলের নামকরণ চূড়ান্ত করবে কাউন্সিলররা। সেপ্টেম্বরের প্রথমদিনে খুলনার শহীদ হাদিস পার্ক থেকে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হবে।
দেশের দু’টি বাম রাজনৈতিক শক্তি একীভূত হওয়ার লক্ষে প্রথম সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন ছিল খুলনায়, গেল ফেব্রুয়ারিতে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির অবসান ঘটিয়ে দেশে মার্কসবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের একীভূত করার বৃহৎ রুপ বাস্তবায়ন করার অংশ হিসেবে খুলনায় এ কাউন্সিলের আয়োজন। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের কর্মীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি বরিশাল ও উত্তরাঞ্চলের কর্মীদের আসার ক্ষেত্রে উপযুক্ত স্থান হিসেবে খুলনাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক একীভূত হওয়ার প্রয়াসের গ্রুপ দুটো হচ্ছে ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)।
সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাথে সরকারের ঐক্যকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের জাতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কার্স পার্টি একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়। সাংগঠনিক শক্তির ভীত দূর্বল হওয়ায় তারা বিকাশ লাভ করতে পারেনি। মূলত কমিউনিষ্ট আন্দোলনকে বেগবান, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠর লড়াইয়ে বাম শক্তিকে একটি বলয়ের মধ্যে আনার জন্য ছোট পরিসরের এ দুইটি দল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস নিয়েছে। এ দু’বাম দলের গঠনতন্ত্র, রণনীতি ও রণকৌশল এক ও অভিন্ন। এ ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সিপিবি, বাসদ ও সাম্যবাদী দলকে এ বলয়ে আনতে তারা তৎপর। মার্কসবাদী দর্শনে বিশ্বাসী এ দলগুলোর সাথে আলোচনা চলছে।
ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের সাথে খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী নওশের আলেী তথ্য দিয়েছেন, যৌথ কংগ্রেসের জন্য দুইটি অংশই তৎপর। তিনি বলেছেন, মার্কসবাদে বিশ্বাসী এ দুইটি দলের গঠনতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। দুই দল রণনীতি হিসেবে গণতান্ত্রিক বিপ্লবে বিশ্বাসী। ফলে এ দুইটি দলের পৃথক অবস্থান এখন যুক্তিহীন।
১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐক্য কংগ্রেসের মাধ্যমে নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। সামনে মূল লক্ষ্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয় সরকারের দাবিকে জনপ্রিয় করে তোলা। দুইটি দলের ঐক্য প্রক্রিয়া শেষ হলে গণতন্ত্রমনা অনেকে এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হবেন।
ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের স্থানীয় সংগঠক মোস্তফা খালিদ খসরু বলেছেন, ঐক্য প্রক্রিয়া উদ্বোধনী পর্বে দুই হাজার কর্মীর উপস্থিতির লক্ষ্যমাত্রা। জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলীয় কর্মীরা উৎসাহিত হবেন। বাম শক্তির ভীত পাকাপোক্ত হবে।