সকাল সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলে রিয়াদের অবদান ও ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গায়ানায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। চোটের কারণে নেই ইয়াসির আলি। ফলে এই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি হয়েছে রিয়াদের। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ছয় ও সাতে ব্যাটিং করা রিয়াদ গায়ানায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে খেলেন চারে। অপরাজিত ৪১ রান করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বছরখানেক আগেই অবসর নিয়েছেন রিয়াদ। খেলছেন কেবল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে তিনি ফর্মে নেই অনেক দিন যাবতই। এই ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে রিয়াদের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ২৫, ২৫, ২৯*, ৬*, ৮, ০, ২৬, ৩৩, ৫৩ ও ৪১।
সাধারণত রিয়াদ যে ব্যাটিং করেন সেখানে বড় রানের সুযোগ থাকে না বলে ব্যাখ্যা করেন তামিম। সেখানে রিয়াদের খুব ছোট ইনিংসও অনেক সময় মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
তামিম বলেন, “সাধারণত ১১ জনের তিনজন তিন, চার ও পাঁচ নং ব্যাটার ইয়াসির রাব্বিসহ এরা ছিল না। কঠিন ছিল কারণ এই তিন জন ক্রিকেটার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর রিয়াদ ভাই যে জায়গায় ব্যাটিং করেন, আজকেরটা বাদ দেন, উনার জন্য কিন্তু ওই ২৫-৩০ রানই অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২৫ রান/২৮ রান বা ৩০ রান। কিন্তু ওই রানই মূল্যটা কিন্তু অনেক বেশি থাকে।”
তামিম আফসোসের সুরে বলেন, “আপনি দক্ষিণ আফ্রিকার ওই তিনটা ওয়ানডে ম্যাচই দেখেন। ওখানেই কিন্তু উনার বড় ইনিংস খেলার সুযোগই ছিল না। আমি মনে করি, উনার এই জিনিসটা একটু অন্যভাবে দেখা উচিত। কারণ মাঝেমাঝে উনি এমন কাজ করেন যেগুলোর জন্য কখনোই প্রশংসা পান না। কিন্তু এক-দুইটা ম্যাচে খারাপ খেললে ওই জিনিসগুলোই তুলে ধরি। এদিক থেকে আমরা সবাই যদি একটি শিখি, তাহলে কোনো একটা খেলোয়াড়ের ওপর চাপ কম পড়বে।”
রিয়াদ বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারায় খুশি হয়েছেন অধিনায়ক, “আমি খুশি যে উনি কাজটা করেছেন আজ। যে জিনিসটা আমি চাচ্ছিলাম, উনি ম্যাচটা শেষ করে আসুক তাই করেছে। এরচেয়ে খুশির আর কী আছে!”
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৫০ রানের জবাবে ৩১.৫ ওভারে ছয় উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে রিয়াদের ব্যাট থেকে। তার ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল দুইটি চার ও একটি ছক্কা।