খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত

গেজেট ডেস্ক

লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাক। (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।) আল্লাহ’র মেহমানরা হাজির আরাফাতের ময়দানে। লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত। সেখানে তাঁরা হজের খুতবা শুনবেন এবং জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে এই আনুষ্ঠানিকতা।

আরাফাতের দিনটি হজযাত্রী এবং সব মুসলিমের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি সেই দিন যেটি ‘পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বছরের সব পাপের ক্ষমা’ পাওয়া যায় এবং সারা বছরের মধ্যে ইবাদত ও প্রার্থনার জন্য সর্বোত্তম দিন।

পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশের দশ লাখের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে। করোনা মহামারী শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক হাজির উপস্থিতি।

ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে পবিত্র হজ পালন করছেন।

৯ জিলহজ জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হতে হয় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে হয়। আর এটাই হলো হজের অন্যতম রোকন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শুনে নিজ নিজ তাবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করবেন হাজিরা। সেখানে তওবা-ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ-তাহলিল ও মোনাজাতে কান্নাকাটিতে আত্মনিয়োগ করবেন তাঁরা।

বিশেষ করে হজের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তা বুঝে নিয়ে জীবনের বাকি সময় এ নসিহতের আলোকে জীবন গড়ার দীপ্ত শপথ নেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য।

সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন হাজিরা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও ইশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করবেন।

মুজদালিফায় সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করার পর সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকা সুন্নত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত যেকোনো এক মুহূর্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য উঠার কিছু আগে মিনার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তাঁরা।

এছাড়া মিনায় জামরাতে (শয়তানকে মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে কঙ্কর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।

শনিবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানি দিয়ে ইহরাম ছাড়বেন হাজিরা। এরপর কাবা শরীফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের হজ পর্ব।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!