সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল আহসান জিতু হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে হত্যার দায় স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান মিঞা। এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সকালে জিতুকে আদালতে পাঠানো হয়।
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান মিঞা বলেন, সকালে আশরাফুল আহসান জিতুতে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়। পরে দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজিব হাসানের আদালতে তোলা হলে জিতু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় আদালতের বিচারক রাজিব হাসান আসামির দায় স্বীকারের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য আমরা আদালতে পেশ করেছি। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে আঘাত করেন তারই এক ছাত্র। পরে উৎপলকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ২৮ জুন রাতে জিতুর বাবা ও ৩০ জুন জিতুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ। জিতু ও জিতুর বাবা উজ্জ্বল হাজীর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে গ্রেপ্তার জিতু ও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তার কথিত প্রেমিকাকে। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষার্থীকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই