বাগেরহাটের মোল্লাহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের জমির পিলার ভাংচুর, রড ও টিনের বেড়া লুটের অভিযোগ উঠেছে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আঃ কুদ্দুস শিকদারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মোল্লাহাট উপজেলার গাফড়া এলাকার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্থ সৈয়দ মোঃ রইছুল ইসলাম এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মোল্লাহাট উপজেলার ৫২ নং গাফড়া মৌজায় আঃ গফুরের কাছ থেকে ৮৩ শতক এবং আদিলুদ্দি খা‘র কাছ থেকে ১৮ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। এই জমির মধ্যে গাফড়া এলাকার কুদ্দুস শিকদার ও তার ভাইদের কোন প্রকার স্বত্ত্ব নেই। তারপরেও কুদ্দুস শিকদার ও তার ভাই বাদল শিকদার, মামুন শিকদার, চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর শিকদার, তুরান শিকদার, আজিজ শিকদার, আলিম শিকদার, মেজবা শিকদার, জুয়েল শিকদারসহ একটি কুচক্রী মহল আদিলুদ্দি খা‘র কাছ থেকে ক্রয়কৃত ১৮শতক জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ১লা নভেম্বর আমাদের ভোগদখলীয় বসতবাড়িতে নির্মান কাজ শুরু করলে কুদ্দুস শিকদার তা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে থানায় শালীস বৈঠক হয়, সেখানে কুদ্দুস শিকদার তার মালিকানার কোন ধরণের কাজ দেখাতে পারেনি।
সৈয়দ মোঃ রইছুল ইসলাম আরও বলেন, গত ২৭ জুন আমার জমির পাকা পিলার ভেঙ্গে মালিকানা সাইনবোর্ড, টিনের বেড়া ও নির্মান কাজের জন্য আনা ৩০০ কেজি রড লুট করে নিয়ে যায়। আমাকে মেরে ফেলার হুমকীও দিয়ে যায়। এই অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ক্রয়কৃত জমি ও জীবন রক্ষায় পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
অভিযুক্ত কুদ্দুস শিকদার বলেন, ওই জমির মালিক আমরা। ওই জমির মালিকানার সব ধরণের কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। রইছুল ইসলাম শুধু শুধু অভিযোগ দিচ্ছেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত মতিয়ার রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বেড়া দেওয়া ও কেটে ফেলার ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ঘটনাস্থলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ