খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

টুঙ্গিপাড়ায় কোরবানির হাট মাতাবে ‘রাজা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

এবার কোরবানির হাট মাতাবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের চিঙ্গড়ি গ্রামের রাজা।উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড় এই রাজা বলে দাবি করেন গরুর মালিক লিটন মন্ডল। রাজার উচ্চতা ৫ফুট ৪ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ ৯ ফুট। রাজার ওজন প্রায় ২০মন। ষাঁড়টির দাম হাকা হয়েছে ৫ লাখ টাকা।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের চিঙ্গড়ি গ্রামের লিটন মন্ডল ২০১৩ সালে মাত্র ২টি পিজিয়ান জাতের গাভী দিয়ে একটি ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলেন। বর্তমানে এ ফার্মে গাভীর সংখা ১৫টি। এই গাভীর কোন একটির বাছুর রাজা যার জন্ম ২০২০ সালে। বর্তমানে রাজার বয়স ২ বছর। এখন তার ওজন হয়েছে ২০ মন। মুখমন্ডল কালো ও কপালে সাদা দাগ। শরীর সাদা এবং কালো রংয়ের ছোপ। শান্ত প্রকৃতির রাজা।

কোরবানির ঈদে ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য দেশী পদ্ধতিতে খামারে লালন-পালন করে বড় করেন ষাড়ের মালিক লিটন। ষাঁড়টির দাম হাকা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। ষাঁড়টিকে দেখেতে প্রতিদিন ভীড় করছেন আশপাশের এলাকার দর্শনার্থীরা।

ষাঁড়টির মালিক লিটন মন্ডর বলেন, আমার ফার্মের একটি গাভীর বাচ্চা রাজা। লালন পালনের সময় শখের বসে নাম দেয়া হয় রাজা। সেই থেকেই বাড়ির সকলে রাজা বলেই ডাকে। বর্তমানে রাজার বয়স হয়েছে ২ বছর। এখন তার ওজন হয়েছে ২০ মন। কোন রকমের ঔষধ ছাড়াই গরুটিকে প্রতিদিন প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। তার খাদ্য তারিকায় রয়েছে জাম্বু সুইটস জাতিয় ঘাসের পাশাপাশি ভূট্টার গুড়ি, কুড়া, খৈল জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন তাকে প্রায় ৭শ’ টাকার খাবার খাওয়ানো হয়। কোরবানি উপলক্ষে অনেক ক্রেতাই ষাঁড়টি দেখতে এসেছেন তারা দামও বলেছে ৪ লাখ টাকা। তবে ৫ লাখ টাকা দাম পেলেই বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আজিজ আল মামুন বলেন, কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে এ বছর জেলায় খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৩ হাজার পশু কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু মোটাজাতা করতে এসব খামারীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা ডেভলপমেন্ট ও আধুনিক পদ্ধতিতে লালন পালনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বড় গরুর দাম একটু বেশী। দাম একটু বেশী হওয়ার কারন হলো গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তবে খামারিদের দানাদার খাদ্য কমিয়ে কাচা ঘাষ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয় হচ্ছে। এতে খামারিদের খরচ যেমন কম হবে দেমনি তারা লাভবান হবে। পাশাপাশি পালিত পশুর দামও কম হবে। খামারিদের বড় আকারের এই ষাঁড় গুলো বার বার হাট বাজারে বেশী না নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করার জন্য পরামর্শ দেয় হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!