সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। ২৩ জুন পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান সুনামগঞ্জের সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বন্যা চলে যাওয়ার পরেও যতদিন জনগণের প্রয়োজন হবে ততদিন তাদের পাশে থেকে সেনাসদস্যগণ সকল সহযোগিতা করবে। বন্যা পরবর্তী বিপর্যস্ত জনজীবনের দুর্ভোগ দূরীকরণের নিমিত্তে সরকারের সকল সংস্থা নিরলস ভাবে কাজ করছে এবং সেনাবাহিনীও তাদের প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে অধিকতর তৎপর হওয়ার জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম বিশেষ গুরুত্বসহকারে পরিচালিত হবে বলে তিনি উপস্থিত সকলকে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এসময়ে সেনাবাহিনীর প্রধানের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাইরেক্টর জেনারেল অব মেডিক্যাল সার্ভিস মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, এসইউপি, এমএমইডি, এমসিপিএস, ডিপিএইচ। এছাড়াও সর্বস্তরের জনসাধারনকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান। পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল মোঃ আবু সাঈদ সিদ্দিক, এসইউপি, এসপিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি, মাষ্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স; মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ; জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল হামিদুল হক, এনএসডব্লিউসি, পিএসসিসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্য সকল ফরমেশন নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং যতদিন প্রয়োজন ততদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘সবাই মিলে কাজ করলে যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব’’।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ