খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আগামী অর্থবছরের বাজেট ঈদুল আজহার পর পেশ করা হবে। এবারের বাজেটের আকার হবে ৯শ কোটি টাকা। মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের আমলে এটি হবে ৪র্থ বাজেট। গতবছরের ২৬ আগস্ট নগরভবনে বাজেট পেশ করা হয়। বাজেটের লক্ষমাত্রা ধরা হয় ৬শ ৮ কোটি টাকা।
কর্পোরেশনের সূত্র বলেছে, আগামী ২১ জুন নাগাদ সাধারণ সভার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সভায় বাজেটের প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে। আগামী মাসের ১ম দিকে স্টান্ডিং কমিটির সভায় বাজেট চূড়ান্ত হতে পারে।
সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, আগামী বাজেটে নুতন করে কোন কর আরোপ হচ্ছে না। বকেয়া পৌরকর আদায়, নবনির্মিত সকল স্থাপনার উপর প্রচলিত নিয়মে কর ধার্য্য, নিজস্ব আয়ের উৎস সম্প্রসারণ, কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বাজেটে নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। নগরীর দরিদ্র জনগণের উন্নয়নে বস্তি এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, টয়লেট নির্মাণ ও উন্নয়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এ বাবদ ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ফলে নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে।
অপর সূত্র বলেছে, কেসিসি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের উপর নির্ভরশীল নয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় ধরণের পদক্ষেপ রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মশিউজ্জামান জানান, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ১৫শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে এ প্রকল্প অনুমোদন শেষে একনেকের বৈঠকে পাশ হওয়ার পর টাকা ছাড় পাওয়া যাবে।
উল্লিখিত অর্থে খুলনা পাবলিক হল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পানও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫শ ৪ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার টাকার ওপর বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশোধিত বাজেটের আকার দাড়ায় ৩শ ৬২ কোটি ৪৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৭১.৮৭ শতাংশ। মুলতঃ সেসময় সরকারের নিকট থেকে আশানুরূপ অর্থ পাওয়া গেলেও দাতা সংস্থা থেকে অনুরূপ অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে উন্নয়ন বাজেটে কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এবারে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা, সরকার, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুতি এবং মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই