চুয়াডাঙ্গার জীবননগর খাদ্যগুদামে চাউল দিতে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ নেওয়াসহ নানা ধরনের হয়রানির কারনে এবার বোরো মৌসুমে চাউল দিতে অনিহা দেখা দিয়েছে মিলারদের।আবার কেউ কেউ বলছে সরকারি রেটের চেয়ে বাইরে চাউলের দাম বেশি হওয়ার কারণে চাউল দিতে চাচ্ছে না মিলাররা।
এদিকে মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, খাদ্যগুদামে চাউল দেওয়ার আগে সিডি নেওয়ার সময় খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি কাউসার,অফিস সহকারী রাকিবসহ বেশ কিছু কর্মকর্তার কেজি প্রতি ১টাকা দাবি করে বসে আছেন।টাকা না দিলে সকাল বেলা খাদ্যগুদামে চাউল ঢুকিয়ে সন্ধার সময় চাউলে ময়েশচার আছে বলে গাড়ি ফেরত দিয়ে থাকে।এই ভুগান্তির কারণে এলাকার মিলাররা চাউল দিতে অনিহা প্রকাশ করছে।
জীবননগর উপজেলা খাদ্যগুদাম সুত্রে জানা যায়,এ বছর বোরো মৌসুমে সরকারি ভাবে নিধারিত মুল্য ৪০টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে চাউল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫হাজার ৫২০মেট্রিক টন।গত ২৯ মে ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যে দিয়ে মিলারদের নিকট থেকে চাউল সংগ্রহের উদ্ধোধন করা হয়। চাউল সংগ্রহ চলবে ৩১ আগস্ট পযন্ত।জীবননগর উপজেলায় ৫৬জন মিলার আছে এর মধ্যে সিডি তুলেছে মাত্র ৩১জন বাকি ২৫জন মিলাররা খাদ্যগুদামের কর্মকতাদের আথিক বাণিজ্যের কারনে চাউল দিতে অনিহা প্রকাশ করেছে।এ পযন্ত জীবননগর খাদ্যগুদামে চাউল দিয়েছে এ,এন,জে,এম অটো রাইস মিল,সততা রাইচ মিল ও দেশ অটো রাইস মিল এই তিনটি মিলে মাত্র ৩শ মেট্রিকটন চাউল দিয়েছে।বাকি মিলাররা চাউল দেওয়া নিয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছে।আদেও মিলাররা চাউলগুলো খাদ্যগুদামে দিবে না কি! গতবারের মধ্যে লক্ষমাত্রার চেয়ে কম চাউল সংগ্রহ হবে ।
নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক বেশ কিছু মিলাররা অভিযোগ করে বলেন,জীবননগর খাদ্যগুদাম এখন ঘুষের রাজ্যে পরিনত হয়েছে।সেখানে মিলাররা জিম্মি হয়ে পড়েছে।নিচ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত টাকা দিতে হয়।টাকা না দিলে চাউল নিয়ে হয়রানিতে পড়তে হয়।
জীবননগর খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি মোঃ কাউসার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,এ বছর যে পরিমাণ লক্ষমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে সে তুলনায় এখনও পর্যন্ত মিলাররা চাউল দিতে পারেনি ।তবে এখন সময় আছে, আশা করছি সময়ের মধ্যে সকল মিলাররা চাউল দিয়ে দিবে।তা ছাড়া টাকা নিয়ে চাউল নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এটা সম্পন্ন মিথ্যা কথা ।এখানে কোন আর্থিক লেনদেন হয় না ।সরকার যে ভাবে চাউল নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেই ভাবেই মিলারদের নিকট থেকে চাউল সংগ্রহ করি।