দীর্ঘ তিন দশক শিক্ষকতা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে যে স্কুলের শিক্ষার্থী সেই একই স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক হতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় দারুণ উৎফুল্ল মোছাঃ খালেদা খানম।
চলতি মাসের ৩০ জুন তিনি অবসরে যাবেন। অবসর গ্রহণের শেষ পর্যায়ে এসে এমন সুসংবাদে উচ্ছাস প্রকাশ করে তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, এ এক অন্য রকম একটা আবেদন এবং অনুভূতি। যে স্কুলে পড়াশুনা করেছি সেই একই স্কুলে শিক্ষকতা এবং সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি এটা আমার জন্য খুবই গৌরব এবং গর্বের। আমার বাবা মোঃ ফজলুল হকও একই স্কুলে দীর্ঘ তিন দশক শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে অবসর গ্রহণ করেছে। আমার এ সুসংবাদে আমার বাবাও দারুণ খুশী এবং উৎফুল্ল।
প্রধান শিক্ষক মোছাঃ খালেদা খানম খুলনার খানজাহান আলী থানার তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে পড়াশুনা করেছেন। একই বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন। খালেদা খানমের পিতা মোঃ ফজলুল হক ১৯৯৪ সালে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ইতিপূর্বে তিনি এ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ তিন দশক ধরে সহকারী শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন।
মোছাঃ খালেদা খানম ১৯৯১ সালে খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পিতার পদাংক এবং আদর্শকে অনুসরণ করে চাকুরী জীবন শুরু করেন। এর ২ বছর পর ১৯৯৩ সালে তিনি যে স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন সেই গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে ঝিনাইদহ গভঃ বালিকা বিদ্যালয়ে এক বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৯৯ সালে আবার তিনি গভঃ ল্যাবরেটরী হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
২০০৮ সাল থেকে ৫ বছর তিনি যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর ২০১৩ সাল থেকে তিনি সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার যশোর সদর হিসেবে ৫ বছর অত্যন্ত সততা, যোগ্যতা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি আবার গভঃ ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। চার বছর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালনের পর সাম্প্রতি তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ভারমুক্ত হয়েছেন।
অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী, আদর্শবান শিক্ষক মোছাঃ খালেদা খানম তাঁকে সহযোগীতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই