জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির পালন করছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিএন্ডএফ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট এসোসিয়েশন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোলসহ দেশের ১১টি শুল্ক স্টেশনে এ কর্মবিরতি চলবে।পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বানিজ্য।
লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের দাবি একাধিকবার জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বাণিজ্যিক এই সংগঠনটি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
উল্লেখ্য গত রোববার (৫ জুন) ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনটির সভাপতি শামসুর রহমান ও মহাসচিব সুলতান হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে কাস্টমসে সব ধরনের পণ্য খালাস সহ সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতিবাদ কর্মসূচি সফল করতে সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করছেন।
এবিষয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, ২০২০ লাইসেন্সিং বিধিমালা সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ জানালেও তারা আমলে নেননি। অবশেষে অ্যাসোসিয়েশনের সবার মতামত নিয়ে যৌক্তিক দাবি আদায়ে এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা এ কর্মবিরতি পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
কর্মবিরতির কারণে বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আহরণও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্দরে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি করা পণ্য থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়। তাই দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা করিমউললাহ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ