খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের- কাজ এগিয়ে চলেছে। হাসপাতালটি হবে বিশ্বমানের, এমনটাই বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই প্রকল্প বাস্তাবায়নে চলছে নানা কার্যক্রম। প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন হলে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
সোমবার (৬ জুন) হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে ‘খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা’ শীর্ষক প্রকল্পের মতামত জরিপ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে রূপসা সেতুর বাইপাস সড়ক ও লবণচরা থানার পাশে সংলগ্ন লবণচরা থানার পাশে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর ২০ একর জমি চিহ্নিত করে খুলনা জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠায়। এই জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ‘খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ নভেম্বর নিয়োগ করা হয় প্রকল্প পরিচালক। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)’ পরিচালিত সমীক্ষা কার্যক্রম বা ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে ডিজিটাল সার্ভের কাজ। প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির পর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে একনেকে। প্রথম পর্যায়ে কলেজে ১২০টি আসন এবং ৫০০ শয্যা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সোমবারের সভার পুর্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে খুলনা ডেন্টাল কলেজের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
সভায় বক্তৃতা করেন খুমেক অধ্যক্ষ ডা. দীন উল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুডেক অধ্যক্ষ ডা. অসীম কুমার সাহা, ডা. শাহীদুজ্জামান বাবলু, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপ সভাপতি ডা: এস এম সামসুল আহসান মাসুম, ডা. শেখ শহীদুর রহমান, ডা. মতিয়ার রহমান, ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, এডি ডেন্টাল ডা. অসীম কুমার স্যান্যাল।
এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।