বাগেরহাট সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) কলেজের কামাক্ষ্যচরণ হলের শিক্ষার্থীরা হলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার ( ৬ জুন) দুপুরে কলেজের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তারা অতিদ্রুত এসব সমস্যা নিরসন করে হলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানান।
তবে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা ঠিকমত না দেওয়াতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল তত্ত্বাবধায়ক।
স্নাতক সন্মান ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী অভিষেক রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হলে একাধিক সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ এর সমস্যার জন্য পড়াশোনায়ও ক্ষতি হচ্ছে আবার বাবুর্চি চলে যাওয়ায় এখন না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
প্লাবন নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন হল তত্ত্বাবধায়ক স্যারের মাধ্যমে বার বার অধ্যক্ষ স্যারের কাছে আবেদন করলেও আমাদের হলের সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে হল তত্ত্বাবধায়ক ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার সরদার বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা টাকা না দেওয়ার ফলে আমরা চাইলেও সংস্কার কাজ করতে পারছি না। কিছু শিক্ষার্থী মাত্র ৬ মাসের টাকা দিয়েছে। টাকা চাইলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দেয়না। তারপরেও আমরা সংকট নিরসনের চেষ্টা করছি।
সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আসাদুল আলম খান বলেন, সারা বাংলাদেশের সব সরকারি কলেজের নিয়ম হচ্ছে হল চলবে শিক্ষার্থীদের টাকায়। শিক্ষার্থীরা টাকাও দিবেনা, আবার আন্দোলনও করবে, এইটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বার বার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা টাকা না দিয়ে অনৈতিক সুবিধা দাবি করে আসছে। হলে অনেক বহিরাগতরা অবস্থান করছে। হলে অবস্থানরত যারা তাদের ছাত্রত্বের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবে না এবং যারা হল ফি পরিশোধ করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।