চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৮ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া এক পুলিশ সদস্যের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭ জন শিল্প পুলিশ এবং ২ জন সীতাকুণ্ড থানার।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনেরও ৯ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সব মিলিয়ে ২২ জন ফায়ার কর্মীর আহতের সংবাদ জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার খবরে প্রথমে সাড়া দেয় আমাদের কুমিরা স্টেশনের সদস্যরা। কিন্তু বিস্ফোরণের ফলে ৯ জন আহত হন, তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিস্ফোরণে সীতাকুণ্ড পুলিশের কনস্টেবল তুহিনের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন হয়ে গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ছাড়াও আরও ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
ওই পুলিশ সদস্যের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক।
তিনি রাতে বলেন, ‘কনস্টেবল মোহাম্মদ তুহিন হোসেনের ডান পায়ের গোড়ালি গুরুতর আঘাত লেগে থেঁতলে গেছে। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার কাজে সেখানে দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ বিস্ফোরণেই সে আহত হয়।’
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগে এরই মধ্যে চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করেছিল। পরে আশেপাশের জেলা থেকে পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়। তবে কনটেইনার ডিপোতে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
আগুনে বেশ হতাহতের আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এরই মধ্যে দুই শতাধিক আহতকে বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের চিকিৎসায় সব ডাক্তারকে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।