এশিয়া কাপের এবারের আসর আয়োজন নিয়ে নাটকীয়তার ইতি ঘটতে চলেছে। এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের এবারের আয়োজন ষত্ব নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশ শ্রীলঙ্কার, যারা নিজেদের দেশেই টুর্নামেন্টটি আয়োজনে মরিয়া।
শ্রীলঙ্কার অস্থিতিশীলতার কারণে এতদিন ভাবা হচ্ছিল, দ্বীপদেশটি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে চাইবে না। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্রিকেটীয় কার্যক্রমেও ছিল ভাঁটার টান। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও পড়েছিল সংকটের ছায়া।
তবে শ্রীলঙ্কা এই দুঃসময়েও এশিয়া কাপের উন্মাদনা হাতছাড়া করতে চায় না। লঙ্কান বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে- এশিয়া কাপ তারাই আয়োজন করবে। এদিকে অংশগ্রহণকারী সব দেশের সুবিধার কথা চিন্তা করে কিছুটা এগিয়ে আনা হচ্ছে এশিয়া কাপের সূচি।
এশিয়া কাপের এবারের আসর শুরু হওয়ার কথা ২৭ আগস্ট। তবে কয়েকদিন এগিয়ে ২৪ আগস্ট টুর্নামেন্ট শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামার কথা থাকলেও পরিবর্তিত সূচিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৭ সেপ্টেম্বর। মূলত পাকিস্তানের মাটিতে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যই সূচিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর আগে শ্রীলঙ্কা আয়োজন না করলে এশিয়া কাপের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা ভাবা হয়েছিল। দুই দেশের বোর্ডই ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছিল। শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কাতেই হচ্ছে এশিয়া কাপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের আয়োজনে ২০২০ সালে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও তা করোনার কারণে পিছিয়ে যায়। এরপর তা ২০২১ সালের জুনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এশিয়ান পরাশক্তি ভারত অংশ নেওয়ায় সেই আসরও পিছিয়ে যায়। স্থগিত হওয়া আসরটি ২০২৩ সালে আয়োজন করা হবে, সেবার ফরম্যাট ওয়ানডে হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এশিয়া কাপের একটি আসর নির্ধারিত ছিল অনেক আগে থেকেই। ২০১৮ সালে শেষবার ৫০ ওভারের ফরম্যাটে এশিয়া কাপ আয়োজন করা হয়।
এবার সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট দিয়ে হলেও এশিয়ার সমর্থকরা তাদের দলকে এই মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ে নামতে দেখার সুযোগ পাবেন।
এশিয়া কাপে পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দল ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়াও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি সহযোগী সদস্য দল অংশ নেবে।