বুধবার । ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

১৪ মরদেহ উদ্ধার, নেপালে বিধ্বস্ত বিমানের ২২ যাত্রীর সকলের মৃত্যুর আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নেপালে ২২ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির মাস্তাং উপত্যকার কাছের একটি গ্রামে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

নেপালি গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। যদিও কোনো যাত্রীরই বেঁচে থাকার আশা নেই।

দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিরগেডিয়ার জেনারেল নারায়ন সিলওয়াল জানান, মুসতাং জেলার মানপতি হিমালের লামচে নদীর মুখে বিধ্বস্ত হয়েছে বিমানটি। শিগগিরই আরও বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবে।
তিনি টুইটারে কিছু ছবিও শেয়ার করেন।

তারা এয়ারের মুখপাত্র সুদর্শন বারতোলা জানান, এখন পর্যন্ত ১৪ মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। মরদেহগুলো প্রায় ১০০ মিটার এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সেগুলোকে সংগ্রহ করার কাজ চলছে।

বিমানটি পাহাড়ের গায়ে আছড়ে পরে এবং মরদেহগুলো সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে আছে বলেও জানান সুদর্শন।

টার্বো ইঞ্জিনের ছোট ছোট বিমানগুলোতে হিমালয়ের মাঝ দিয়ে উড়ে যাওয়া নেপাল ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। রোববার তেমনই ২২জন পর্যটক নিয়ে সকাল ১০ টার দিকে পোখরা থেকে রওনা হয় ‘তারা এয়ারের’ একটি বিমান। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিএস জানায় বিমানটির সঙ্গে আর যোগায়োগ করা যাচ্ছে না। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে চলে অনুসন্ধান। বিকেলের দিকে জানা যায় বিমানটি ক্রাশ করেছে।

মাস্তাং উপত্যকার কাছে একটি গ্রামের ধারে বিমানের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন দেখা যায়। সময় নষ্ট না করে প্রশাসন সেনাবাহিনীর হাতে উদ্ধারকাজের দায়িত্ব তুলে দেয়। সেনা একাধিক হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য একটিও হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। শেষপর্যন্ত রোববার উদ্ধারকাজ স্থগিত করতে হয়। সোমবার সকালে যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

বিমানটিতে চার ভারতীয়, দুই জার্মান এবং ১৩ জন নেপালের পর্যটক ছিলেন। এছাড়াও ছিল বিমানের কর্মী ও পাইলটরা। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

গত ১৩ বছরে এই নিয়ে তৃতীয় তারা এয়ারের ফ্লাইট ভেঙে পড়ল। ওই বিমানগুলি কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন