ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে ঘিরে পশ্চিমাদের খেলা বন্ধ করা এবং আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধ’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেন স্বাধীনই থাকবে দাবি করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, কোন মূল্যে এ স্বাধীনতা রক্ষা হবে সেটিই এখন প্রশ্ন। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
সম্প্রতি পশ্চিমাদের সমালোচনা বাড়িয়েছেন জেলেনস্কি। রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ধীরে এগোচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সময়ে হাজার হাজার রুশ সেনা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই শহর সিভিয়েরোদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তিন মাস হতে চলেছে। এর মধ্যে কিয়েভ দখলের চেষ্টা থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকার অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে তারা। ২০১৪ সাল থেকে ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো।
পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা সিভিয়েরোদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক শহরের যুদ্ধকে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন। গত সপ্তাহে মারিউপোলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের পর এ দুই শহরের পতন হলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন সবসময় স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। এটি ভেঙে যাবে না। একমাত্র প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীনতার জন্য আমাদের জনগণকে কী মূল্য দিতে হবে; আর আমাদের বিরুদ্ধে কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া কী মূল্য দেবে সেটি।’
জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘বিপর্যয়কর যেসব ঘটনা সামনে আসছে তা এখনো বন্ধ করা যায়, যদি বিশ্ব ইউক্রেনের মতো একইরকম পরিস্থিতিতে পড়ার উপলব্ধি দিয়ে সেভাবে কাজ করে। যদি বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো রাশিয়াকে নিয়ে খেলা না করে বরং যুদ্ধ শেষ করার জন্য সত্যিকারের চাপ প্রয়োগ করে।’
রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের সমালোচনা করেছেন জেলেনস্কি। কিছু দেশকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা বন্ধের সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইইউ রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাসহ দেশটির ওপর ষষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছে। এক্ষত্রে মতৈক্য প্রয়োজন। কিন্তু হাঙ্গেরি তাদের অর্থনীতি বাঁচাতে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে।