পটুয়াখালীর দুমকিতে তালাক দেওয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে ইতি আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আব্দুল জলিলের (৩২) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ধোপারহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি আক্তার ওই গ্রামের আব্দুল মান্নান খানের মেয়ে। পারিবারিক কলহের কারণে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ইতি আক্তার। ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে নিজেদের পছন্দেই বিয়ে করেছিলেন ইতি ও জলিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার জলিলের সঙ্গে ইতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জলিল যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর করে আসছিল। প্রায় পাঁচ বছর আগে ইতি ঢাকা থেকে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে কিছু দিন আগে ইতি তার স্বামীকে তালাক দেন। পরে দিবাগত রাতে জলিল ঢাকা থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে ঘুমন্ত ইতির শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়। এ সময় বিষয়টি ইতির বাবা দেখে ফেলেন। প্রথমে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, এরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে গাড়িতে ইতির মৃত্যু হয়। ইতির পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ইতির বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আমাদের ঘুম ভাঙে। জলিল মোবাইল ফোনে কয়েকবার হুমকি ও ভয় দেখিয়ে আসছিল আমার মেয়েকে পুড়িয়ে মারবে। আমি যখন আমার মেয়ের চিৎকার শুনে ওর কাছে যেতে চাই তখন দেখি আমাদের ঘরের দরজা বন্ধ। আমার মেয়েটা সহ্য করতে না পেরে খাট থেকে নেমে মাটির সঙ্গে গড়াগড়ি খায় আগুন নেভানোর জন্য। কিন্তু পেট্রল এমনভাবে দিছে, আমরা সবাই মিলেও আগুন নেভাতে পারেনি। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই