আইসিসি নারী ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের আগের দুই আসরে খেলা হয়েছিল ৮ দল নিয়ে। আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় আসর। তার ঠিক আগে আইসিসি জানাল, এবারের আসরে খেলবে বাংলাদেশ, সঙ্গে যোগ হয়েছে আয়ারল্যান্ডও।
২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম আসরে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছিল। নিজেদের মধ্যে সিরিজ খেলে সেখান থেকে বিজয়ী অস্ট্রেলিয়াসহ চার দল সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল, বাকি চার দলকে খেলতে হয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মঞ্চে।
পরেরবার সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা দেওয়া হয় পাঁচ দলকে। তৃতীয় আসরে এসে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এবারও অবশ্য গেল বারের মতোই শীর্ষ পাঁচ দল আর বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। আর বাকিদের পেরোতে হবে বাছাইপর্বের ঝক্কি, সেখানে বিশ্বকাপের দুটি জায়গার জন্য লড়তে হবে র্যাঙ্কিংয়ের ১১ ও ১২তম অবস্থানে থাকা দলের সঙ্গে।
আইসিসি নারী ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে যুক্ত হওয়ার ফলে আগামী তিন বছরে আটটি সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের। নিগার সুলতানারা ২০২২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ঘরের মাঠে খেলবেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, আর নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবেন অ্যাওয়ে সিরিজ।
তবে কবে কখন হবে সিরিজগুলো, তা অবশ্য জানায়নি আইসিসি। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে এই সিরিজ।
নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দলের সংখ্যা বাড়ানোর কাজটা আইসিসি করেছে নারী ক্রিকেটের বৃদ্ধির, জানালেন আইসিসির প্রধান কার্যনির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস। নারীদের ক্রিকেটের বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও একটা কাজ করেছে আইসিসি। পাঁচ দেশকে দিয়েছে ওয়ানডে স্ট্যাটাস। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া নতুন দলগুলো হলো- নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউগিনি, থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে আইসিসি কর্তা বলেন, ‘আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দল বাড়ানো আর পাঁচ দলকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস দেওয়াটা নারীদের খেলাটাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে আমাদের। আরও বেশি দল নিয়মিত খেলার ফলে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতির তৈরি হবে, যেমনটা আমরা দেখেছিলাম নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে।’