করোনার ভাইরাসের নমুনা দিতে আসা আগ্রহীদের নির্ভুল ঠিকানা সংরক্ষণ এবং করোনার রিপোর্ট নিয়ে সকল ধরণের বাণিজ্য প্রতিরোধ করতে এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুলনা সিভিল সার্জন ইতিমধ্যে খুলনার ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা সদর হাসপাতাল এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যূ করেছেন। খুলনা গেজেটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ আছে। পাশপাশি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছিকৃতভাবে অনেকেই ভুল ঠিকানা দিয়ে দেয়। এসকল সমস্যা প্রতিরোধ করতেই এখন থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা দেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংগ্রম করবে নমুনা সংগ্রহকারী কতৃপক্ষ। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সোমবার জেলার সকল নমুনা সংগ্রহকারীদের নিকট পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে গত ১১ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- খুলনার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো যেন করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার সুযোগ না পায় সেটিকে নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স নবায়নসহ সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এমনকি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করাতে দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়পত্র লাগবে। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো: হেলাল হোসেন।
খুলনা গেজেট / এনআইআর