বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস মোড় হতে বেলাইব্রীজ পর্যন্ত ৫.১ কিলোমিটার সড়কটির নির্মাণ কাজ গত ৩ বছরেও শেষ হয়নি। এতে মোংলাগামী ও এর আশপাশের এলাকারবহু মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ও রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের আবেদন নিবেদনেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
রামপাল উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেলাই ব্রীজ হতে রামপাল সদরের ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত ৫. ১ কি.মি. সড়কটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয় ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা। খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম,এ জলিল খান সড়কটি নির্মাণ করছিলেন। স্থানীয়ভাবে কাজটির দেখভাল করছিলেন জিয়াউর রহমান নামের এক প্রতিনিধি।
জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণ শুরু হয় গত ২০১৮ সালের ৩ মে। যা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ২ মে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন।
এতেও তারা যথা সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারেননি। এরপর রামপাল উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে তাদের ৩ বার নোটিশ পাঠান হলেও তারা তাতে সাড়া দেননি বলে এলজিইডি কর্মকর্তা মো. গোলজার হোসেন দাবি করেন। ইতিমধ্যে ওই সড়কটির ৬৫ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ জানান, বারবার তাগিদ দেয়ার পরও জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি এটা দুঃখজনক। ওই সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে রামপাল থেকে মোংলার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার কমে যেত। এতে সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মোংলা ইপিজেডগামী শ্রমিকসহ মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের বিরাট উপকার হতো। তাদের যাতায়াতে পরিবহন ব্যয় ও সময়ের সাশ্রয় হতো। এত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির নির্মাণ কাজ গত ৩ বছরেও সম্পন্ন করা গেল না, এটা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আছে বলে মনে করেন ওই নেতা৷
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের তদারককারী মো. জিয়াউর রহমানের ব্যবহৃত ০১৭১১-৯৫০৪৬৮ নম্বরে কল করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. গোলজার হোসেন এর কাছে জানতে চাইতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে গাফিলতি করেছেন। আমরা নোটিশ করেও তাদের দিয়ে কাজ করাতে ব্যর্থ হয়েছি। তাদের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। স্থানীয়রা ওই সড়কের নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই