অর্থনীতি আর অবকাঠামো উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরের স্বপ্ন ৫১ বছর ধরে লালন করে আসছেন এই এলাকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সরকারি গেজেটভূক্ত জীবননগরে প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
জীবননগর স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিল। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় শুল্ক স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৭২ সালে শুল্ক স্টেশনটি ফের চালুর নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে আবারো এটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আবার শুল্ক স্টেশনটি চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করে বন্দরটিতে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১১ জুন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে শুল্ক স্টেশন কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নির্দেশ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেটাও আলোর মুখ দেখেনি। এখন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পর দেখার বিষয় কত দিনে তা বাস্তবায়ন হয়।
জানা যায়, দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। বন্দরটি থেকে ভারতের জাতীয় সড়কের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। ঢাকার সাথে দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। তা ছাড়া ভারতীয় অংশে জাতীয় মহাসড়ক থেকে সব স্থানে যাতায়াত করা সম্ভব। জাতীয় সড়ক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের যে দূরত্ব, তার থেকে অনেক কম দূরত্ব অর্থাৎ ২৫ কিলোমিটার দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর। যার কারণে ভারতের সাথে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি এবং রফতানি ও পরিবহন খরচ অনেকাংশে সাশ্রয়ী হবে।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইমলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ,সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী,সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ মালেক মোল্লা,মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান,সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্থগিত হয়ে যাওয়া স্থলবন্দরটি পুনরায় কার্যক্রম চালু করার জন্য বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি ও এলাকাবাসী এসময় দাবি করেন।