চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসের শ্রীলঙ্কাকে ৩৯৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দলের ইনিংস থামে ৪৬৫ রানে। এতে ৬৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে ১ ঘণ্টার মতো ব্যাটিং করে স্কোর বোর্ডে ৩৯ রান তুলতে পেরেছে লঙ্কানরা, হারিয়েছে ২ উইকেট। এতে এখনো ২৯ রানের লিডে আছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।
২ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে সফরকারীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষদিনে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে তারা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের বর্তমান যে অবস্থায়, তাতে লঙ্কানদের থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ দল। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে খুব বেশি নাটকীয়তা আর অঘটন না হলে অন্তত হারের শঙ্কা নেই টাইগারদের।
শেষ বিকেলে ২ উইকেট হারানোয় শেষদিনে শ্রীলঙ্কা দল চাইবে যেকোনো উপায়ে ম্যাচটি ড্রতে শেষ করতে। এতে রক্ষণাত্মক পথ বেছে নিতে চাইবে তারা। বাংলাদেশ দল চাইবে সফরকারীদের বাকি ৮ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে নিতে। এই লক্ষ্যে অবশ্য উইকেটের সমর্থন পাবেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। চতুর্থ দিনের উইকেটে শার্প টার্ন আর বাড়তি বাউন্স দেখা গেছে, সেটি পঞ্চম দিনে আরো বেশি ভোগাবে ব্যাটসম্যানদের।
বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘটলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। সকালে বৃষ্টির কারণে খেলা আধাঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়ায় এদিন শেষ বিকেলে বাড়তি আধাঘণ্টা যোগ করা হয়। এই সুযোগের ফায়দা নিয়েছে স্বাগতিকরা। স্পিন ঘূর্ণিতে চেপে ধরে সফরকারীদের। তবে প্রথম সাফল্যটা আসে রান আউটের মাধ্যমে। তাইজুল ইসলামের সরাসরি থ্রোয়ে ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ফেরেন ১৯ রানে।
উইকেট বাঁচাতে নাইটওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলডেনিয়াকে পাঠায় লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দিনের খেলার শেষ ওভারে তাইজুল হাত ঘোরাতে এসে ফেরান এই বাঁহাতিকে। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে টার্ন করে ভেতরে ঢোকা বলে লাইন হারান এম্বুলডেনিয়া। বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ২ রানে। তার আউটের মধ্য দিয়ে দিনের খেলা শেষ হয়।
২ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা দলের সংগ্রহ ৩৯ রান। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের বর্তমান যে অবস্থায়, তাতে লঙ্কানদের থেকে বেশ এগিয়েই আছে বাংলাদেশ দল।