আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য এযাবতকালের সর্বোচ্চ ১৪৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রাজস্ব বাজেট পাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া চলতি অর্থ বছরের ১২১ কোটি ২৪ লাখ টাকার মূল রাজস্ব বাজেটের স্থলে সংশোধিত বাজেট পাওয়া গেছে ১৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এমন সুখবর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বাজেটে প্রাপ্ত বরাদ্দ সময়মতো এবং যথাযথভাবে ব্যয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আগামী বছর বাজেট প্রণয়নের আগেই বটম আপ এ্যাপ্রোচ করা হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও বিভাগ থেকে ব্যয়ের খাত ও চাহিদা নেওয়ার পর বাজেট প্রণয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
উপাচার্য আগামী অর্থ বছরের জন্য শিক্ষা উপকরণ খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ বৃদ্ধিরও আভাস দিয়ে বলেন, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং এর ফলে শিক্ষার গুণগত মান অর্জন সহায়ক হবে।
তিনি আজ ১৮ মে (বুধবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে একাডেমিক প্রধানদের সাথে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও আগামী অর্থ বছরে বাজেটে প্রত্যাশিত বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভায় আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা, আইসিটি কার্যক্রম, অনলাইনে স্টুডেন্ট ফিডব্যাক, প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে ভর্তিতে ছাত্র সংখ্যার যৌক্তিকীকরণ, ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের অগ্রগতি, আসন্ন ঢাবি ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, শুদ্ধাচার পুরস্কার, ক্রয় পদ্ধতি, জার্নাল প্রকাশনায় বরাদ্দসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পায়।
উপাচার্য উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গল্লামারী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ইউজিসি থেকে ৫০ লাখ এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ৬৪ লাখ টাকার বেশি পাওয়া গেছে। এছাড়া ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সফট্ অবকাঠামো’ শীর্ষক জমাদানকৃত ডিপিপি এবং ইতোপূর্বে পেশকৃত অর্গানোগ্রাম অনুমোদনের বিষয়টি পাইপলাইনে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও পরিচালকবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
এদিকে আজ সকালে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট বাস্তবায়নে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রের কপি উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আব্দুর রউফ মোল্লাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।