খুলনা শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদারের আত্মহত্যার পর থেকে খুমেক আবাসিক কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদারের কোন খোঁজ নেই। প্রশাসনের আশ্বাসের পর ২০ দিন পার হলেও তার কোন হদিস মেলেনি। শুক্রবার রাতে সুহাসের বোন সিথি মনি হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার খুলনা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুকান্ত দাস বলেন, মন্দিরা মজুমদারের আত্মহত্যার পর খুমেক হাসপতালের আবাসিক কর্মকর্তা সুহাস ও তার বড় বোন সিথি মনি হালদার আত্মগোপনে চলে যায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে মোংলা উপজেলার চটেরহাট এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
উল্লেখ্য গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে থাকে মন্দিরা। এর আগে খুমেক হাসপাতালে আবাসিক কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মন্দিরা। পরে সিথি মনি হালদারের বাড়িতে গিয়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হত তারা। পরবর্তীতে অন্তসত্বা হয়ে পড়লে মন্দিরা সুহাসকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে অস্বীকার করে সে। মান সম্মানের ভয়ে মন্দিরা আত্মহত্যা করে। পরে বাবা প্রদীপ মজুমদার আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে সুহাস ও সিথি মনি হালদারের নামে মামলা দায়ের করেন।