আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সৃষ্ট সেখানকার নাজুক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে একটি চিহ্নিত মহল বাংলাদেশে উস্কানিমূলক মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে জনগণের মাঝে আতঙ্ক-ভীতি সঞ্চার করছে।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার(১৩ মে) ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি তুলে ধরা হয়।
‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের এক অপরাজনীতির ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কিছু কিছু চিহ্নিত গণমাধ্যম ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট কতিপয় তথাকথিত গবেষণা সংস্থা তাদের মনগড়া ও বাস্তবতা বিবর্জিত আষাঢ়ে গল্প পরিবেশন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
বিবৃতিতে কাদের বলেন, ‘যত দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে, তত দিন এদেশের জনগণের জীবন সুরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান হবে না।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব প্রতিদিন নির্লজ্জভাবে ক্রমাগত মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং গণমাধ্যম তাঁদের দেওয়া দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি ও মিথ্যা মন্তব্যের কোনো রকম সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রকাশ করে থাকে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বৈরশাসন ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বার বার ধ্বংস করে আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নামে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা ও তামাশা করছে। মির্জা ফখরুল সাহেবদের মতো যাঁরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর কাউকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও শিশু মুক্তিযোদ্ধা বানাবার অপপ্রয়াস চালান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার-আলবদরদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ও ক্ষমতার আসনে বসায় তাঁদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না।’