এক সময়ের মোংলার ঐতিহ্যবাহি সিনেমা হল আখিঁ সিনেমা এবং রিমঝিম সিনেমা। কাল ও সময়ের বিবর্তনে আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই সিনেমা হল দুটি। কথিত আছে জনপ্রিয় এই হলে বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমা দেখতে এসে বাচ্চা প্রসব করেছিলেন কোন এক নারী। এক সময় যে সিনেমা হলের সামনে থাকতো রঙিন পোস্টার, আলোক সজ্জিত গেট এবং মানুষের সরব উপস্থিতি সেই সিনেমা হল বর্তমানে পরিণত হয়েছে ভূতের গলিতে।
রহিম রুব্বান, কাশেম মালার প্রেম,গুনাই বিবি,বেদের মেয়ে জোসনা,বাংলার বধু, স্বামি কেন আসামি, নাগ নাগিনির প্রেম, মায়ের অধিকার, অন্তরে অন্তরে, প্রেমের সমাধি সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা মাইকিং করে ডাক ঢোল পিটিয়ে দর্শকদের দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হতো। মোংলাসহ আশেপাশের উপজেলাগুলি থেকেও সিনেমাপ্রেমী দর্শকের আসতো নতুন পোশাক পরিধান করে সপ্তাহের নতুন ছবি দেখতে।
কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের আধুনিক যুগে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকাতে সিনেমা হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। চাইলেই তারা নিজেদের মন মত যে কোন সিনেমা ঘরে বসে কিংবা চায়ের দোকানে বসে নিজেদের মোবাইলে দেখতে পারছেন।
এই পেশার সাথে জড়িত অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে এখন ভিন্ন ভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। সিনেমা হলের মাইকিং ম্যান নজরুল বলেন এখন আর দর্শক হলে আসেনা ছবি দেখতে। সিনেমা হল বন্ধহয়ে যাবার পর চায়ের দোকান দিয়েছি বৌ বাচ্চা নিয়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছি। তবে এই পেশায় জড়িত ছিলো এমন অনেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
সামাজিক সংগঠন সার্ভিস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন সিনেমা হল মানুষের বিনোদনের বড় একটি জায়গা, কর্মব্যাস্ত জীবনে মানুষের বিনোদনের খুবই প্রয়োজন, স- পরিবারে হলে গিয়ে ছবি দেখার মতো পরিবেশ এবং মানসম্মত ছবি হলে মানুষ আবারো সিনেমা মুখি হবে।