ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক দুই শিক্ষার্থী জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। তারা একই বিভাগের ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজল দত্ত এবং ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়া সুলতানা। ২০১৩ থেকে ২০২০ সালে ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশের ৮৫ কৃতি ক্রীড়াবিদ ও সংগঠককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) সকাল ৯টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের পুরস্কার প্রদান করেন। তার পক্ষ থেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এই পুরস্কার তুলে দেন। এসময় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র দেওয়া হয়।
ইবির সাবেক শিক্ষার্থী কাজল দত্ত ২০১৬ সালের খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থী শাহরিয়া সুলতানা ২০১৭ সালের খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে তারা দু’জনই ৭ম বাংলাদেশ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেন বলে জানা যায়।
জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের জন্য ৪৯টি, ২০১৪ সালের জন্য ৫৩টি, ২০১৫ সালের জন্য ৩০টি, ২০১৬ সালের জন্য ৩৩টি, ২০১৭ সালের জন্য ৩৯টি এবং ২০১৮ সালের জন্য ৫৮টি ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ৭৮টিসহ মোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক আবেদন পত্র জমা দেন।
তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় মোট তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেন তারা। তালিকাটি জাতীয় বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো হলে ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করে।