Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
মঙ্গলবার । ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ । ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল অবিলম্বে চালুর দাবিতে শিল্পাঞ্চলে গণমিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়ত্ব সকল পাটকল অবিলম্বে চালু, দুর্নীতি-লুটপাট-ভুলনীতি বন্ধ ও আধুনিকায়নসহ শ্রমিকদের সকল পাওনা অবিলম্বে পরিশোধসহ ১৪দফা দাবিতে বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে গণমিছিল করেছে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। প্লাটিনাম জুটমিল গেট থেকে শুরু হয়ে ক্রিসেন্ট ও খালিশপুর জুটমিল হয়ে নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত গণমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা।

সদস্য সচিব এসএ রশীদের পরিচালনায় এসময়ে বক্তৃতা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডাঃ মনোজ দাশ, এড. আ ফ ম মহসিন, মোজাম্মেল হক, জনার্দন দত্ত নাণ্টু, আনিসুর রহমান মিঠু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, এইচএম শাহাদাৎ, আব্দুল করিম, মিজানুর রহমান বাবু, এ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, মোস্তফা খালিদ খসরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন, শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, মাহবুবুর রহমান খোকন, ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, আফজাল হোসেন রাজু, কোহিনুর আক্তার কণা, এড. নিত্যানন্দ ঢালী, প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, সামশেদ আলম শমশের, নজরুল ইসলাম মল্লিক, জালাল মোল্যা, মেহেদী হাসান বিল্লাল, অলিয়ার রহমান, নূরুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন জয়, আবুল হাসেম, জসিম গাজী, হামজা গাজী, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, আব্দুল্লাহ ফয়সল, শামস শারফিন, গোবিন্দ বৈদ্য, মোঃ ইসমাইল, নাসিমা আক্তার, মোলাম মোস্তফা, আল আমিন, অনীক ইসলাম, সৌরভ সমাদ্দার, কৃষ্ণেন্দু বাছাড় ও আক্তার আনিকা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়ে স্থায়ী, বদলী ও দৈনিক ভিত্তিক প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিককে বেকার করে তাদের পরিবারকে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যে দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে এসব মিলগুলো লোকসান হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তার দায় শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশীয় লুটপাটকারী ও পাটপণ্যের বাজার ভারতের হাতে তুলে দিতেই সরকার পাটকলগুলো বন্ধ করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কোনোভাবেই এসব মিল পিপিপি, লীজ বা ব্যক্তিমালিকানায় দেয়া চলবে না। শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী মাত্র ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন করতে হবে। একই সাথে অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরতসহ সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধ করতে হবে। অবিলম্বে দাবি মেনে না নিলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ থেকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় পিপলস গোল চত্বরে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন