জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৮২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ঋণ থেকে ৬৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ২২০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে সভার বিস্তারিত জানান।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-
বাপবিবোর বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পোল মাউন্টেড উপকেন্দ্রের নবায়ন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা। ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লোকাল গভঃ ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি) প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টগুলো পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি) প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।