শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পারামুনা (এসএলপিপি) দলের বেশ কয়েকজন এমপির বাসভবন এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার দিনের শুরুতে গ্যালে ফেস-এ ‘গোটাগোমা’ বিক্ষোভে সহিংসতার পর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। কুরুনেগালা জেলার এমপি ও সাবেক মহাসড়ক বিষয়ক মন্ত্রী জনস্টন ফার্নান্দোর বাসভবন ও পার্টি অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া এমপি নিমাল লাঞ্জা, বাদুল্লা জেলার এমপি টিসা কুক্তিয়ারাচ্ছি, শিক্ষা ও বৃক্ষায়ন বিষয়ক মন্ত্রী রমেশ পাথিরানার বাসা ঘেরাও করে তাতে আগুন দেয়া হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে মোরাতুওয়ার মেয়র সমনলাল ফার্নান্দোর বাসভবন, এমপি সনৎ নিশান্তর বাসভবনে।
এর আগে পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে। এমন এক সময়ে তিনি পদত্যাগ করেন যখন দেশে সরকারবিরোধীদের আন্দোলনকে দমন করতে জারি আছে কারফিউ। তা অমান্য করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ জনতা। রাজধানী কলম্বো ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকারপন্থি সমর্থকরা। এই সংঘর্ষে ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি সহ কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের দ্বিতীয় ছেলে ও তার চিফ অব স্টাফ ইয়োশিথা রাজাপাকসে তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালেই দেশ ছেড়ে গেছেন। ডেইলি মিরর বলছে, তারা বিআইএতে উপস্থিত হন এবং সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। তবে কি ইয়োশিথাকে তার পিতা মাহিন্দ রাজাপাকসে নিজেই দেশ থেকে বের করে দিয়েছেন! কারণ, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পদত্যাগের ফলে যাতে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তিনি ছেলে ও পুত্রবধুকে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে আলোচনা আছে শ্রীলঙ্কায়।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সনৎ জয়সুরিয়া সোমবারের সহিংসতা ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়ে টুইটারে লিখেছেন, এটাই হলো রাজাপাকসেদের ইতি। তিনি আরও লিখেছেন, গ্যালে’তে নিরপরাধ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দিনের আলোতে এই রকম দস্যুতা আমি কখনো ভাবিনি। তিনি আরও বলেন, পুলিশের এটা মনে রাখা উচিত, তাদের দায়িত্ব হলো জনগণকে সুরক্ষা দেয়া, কোনো দুর্নীতিবাজ রাজনীতিককে সুরক্ষা দেয়া নয়। তার অনুসারী ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এটা ছিল রাষ্ট্র সমর্থিত ইচ্ছাকৃত ও পূর্ব পরিকল্পিত সহিংসতা।