বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচির আলোকে দেশ উন্নয়ন ও উৎপাদনের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপি আজ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান দেশের জনশক্তির অর্ধেক নারী। আজ এ নারী সমাজকে সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। সমাজে নারী ও শিশুরা লাঞ্চিত ও বঞ্চিত। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোন খেয়াল নেই।
নারী সমাজ যেন অবহেলিত না হয় সেই জন্য শহীদ জিয়া মহিলা দল গঠন করেছিলেন। বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখন নারীদের অধিকার সবসময় দৃঢ় করার কাজ করে গেছেন। দলের এবং দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। বর্তমান দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে নারী সমাজ অর্থাৎ মহিলা দলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ ও দলের প্রতিটা কাঠামোতে নারীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এদেশে বারবার গণতন্ত্রকে আহত করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। সেই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আর ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু আজকে সেই গণতন্ত্র সঙ্কটের মুখে।’
বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা মহিলা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন বেলা ১১ টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে দূর্বল করে ফেলা হয়েছে। মানুষ চায় মানবিক একটি বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে মানুষ তার মর্যাদা পাবে। খুন, গুম, নির্যাতন, গায়েবী মামলা, মিথ্যা মামলা বন্ধ হবে এবং গরীব মানুষরা বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী না, সারাদেশের মানুষ সমৃদ্ধ হবে। সেই স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। অতএব আজকের দিনেও আমাদের শপথ স্বাধীনতার যে স্বপ্ন, একটা প্রকৃত গণতন্ত্র, একটি মানবিক এবং সবার জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাই আমরা। সরকারি আদেশে চিকিৎসার জন্য দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করাটা অমানবিক বলে আমরা মনে করি। সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে তিনি যাতে বিদেশে যেতে পারেন সে ব্যাপারে যে বিধি নিষেধ সেটা প্রত্যাহার করাটা মানবিক একটা কর্ম বলে আমরা মনে করি। এটা আমাদের দাবি।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, খুলনা জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা মহিলা দলের সভাপতি এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর মহিলা দলের সভাপতি রেহানা ঈসা এবং পরিচালনা করেন শাহনাজ ইসলাম ও কওসারী জাহান মঞ্জু।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আ: রশিদ, মোল্ল্যা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, মুর্শিদুর রহমান লিটন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহম্মেদ তুহিন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শরিফুল ইসলাম বাবু, জসিম উদ্দীন লাবু, বদরুল আনাম, ইশহাক তালুকদার, সরদার রবিউল ইসলাম, আবু সাইদ শেখ, মাহবুব হোসেন, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শামসুল বারী পান্না, এনামুল হক সজল, গাজী সোয়েবউদ্দীন মিন্টু, মোঃ আলী, ডাঃ ফারুক হোসেন, নুরুল ইসলাম লিটন, হেমায়েত হোসেন, শাহাবুদ্দীন, এম এ হাসান, সেলিম, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নাছিমা আক্তার লিপি, কাজী জায়দা, হাসনা হেনা, এ্যাড. রেবেকা, কোহিনূর বেগম, চম্পা বেগম, আনজিরা খাতুন, মিতা পারভীন, মুন্নি জামান, শিরিন দৌলত, রোজিনা পারভীন, আফরোজা সুইটি, সানজিদা, জেসমিন আক্তার, মনিরা হাসান, মুন্নি বেগম, পারভীন বেগম, মাহমুদা বেগম, কোজিনুর বেগম, লায়না আঞ্জুমান, রুমানা ন্যান্সি, এ্যাড. কামরুন্নাহার হেনা, সাবিনা ইয়াসমিন, শেখ সাথী আমিন, শিখা, জলি বেগম, মনি বেগম, শাহানা, নীলা, কল্পনা ও পুতুল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম