ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে মোংলা বন্দরের সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন।
তিনি বলেন, এখনও বন্দরের সব পণ্য খালাস ও বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরে সাধারণত ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত না ওঠা পর্যন্ত কার্যক্রম চালানো হয়। তবে সংকেত উঠুক বা না উঠুক আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বন্দরের জেটির কর্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বাপ্পি জানান, গত কয়েকদিন প্রচণ্ড রোদ ও দাবদাহ ছিল। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া কারণে এই এলাকার মানুষ কিছুটা ঘূর্নিঝড় আতঙ্কে আছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, সোমবার সকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় সর্তক থাকতে এবং সমুদ্রে থাকা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে সংরক্ষণ, শুকনা খাবার ও সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।