নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক সৌদি প্রবাসী যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
নিহত মো.ইউছুফ (৩২) উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণপুর গ্রামের চোর্বা বাড়ির শরীয়ত উল্যার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণপুর গ্রামের চোর্বা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইউসুফ সৌদি প্রবাসী। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে একই বাড়ির মধ্যে তাঁর চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। থেমে থেমে এ নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বাড়ির চাচাতো ভাই সোহেল, রুবেল ও চাচা নুরনবী সঙ্গে ইউসুফের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেল, রুবেল ইউসুফকে মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনবাগ থানার পুলিশ।
৯নং নবীপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আনোয়ার উল্যাহ বলেন, গত কয়েক দিন আগে প্রবাসী ইউসুফদের বসতঘরের পাশের একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে আমার কাছে তাঁর চাচা অভিযোগ করে। তখন আমি দুই পক্ষকেই ওই বিরোধপূর্ণ জায়গার গাছ থেকে আম পাড়তে নিষেধ করি। একই সাথে দুই পক্ষকেই বলা হয় ঈদুল ফিতরের পর পরই জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার ইউসুফ ওই গাছ থেকে আম পাড়তে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে চাচাতো ভাইদের ছুরিকাঘাতে ইউসুফ মারা যায় বলে শুনেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটেয়ারী বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা যায় বিরোধপূর্ণ জায়াগা থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রবাসীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও জানায়, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাচাই করে আটককৃতদের নাম ঠিকানা পরে জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই