ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তাই ঈদের খুশিকে ভাগাভাগি করতে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে মেঘ আর বৃষ্টির খেলা। দুপুরের পর বৃষ্টি থেমে গেলে এসকল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তে থাকে সকল বয়সের মানুষের ভিড়।
করোনা মহামারীর কারণে গেল দু’বছর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেনি নগরীতে বসবাসরত সাধারণ মানুষ। কিন্ত বর্তমানে এর প্রভাব না থাকায় মানুষ স্বতসফূর্তভাবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করছে। সাধারণ মানুষের সমাগমে এসব স্থান মিলন মেলায় পরিণত হয়। সেই সাথে আশপাশের ব্যবসা কেন্দ্রগুলোও জমে উঠেছে।
দুপুরের পর থেকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে সাধারণ মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতির পরিমাণ আরও বাড়াতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় জোহরা খাতুন বিদ্যাপিটের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শাকিলা জাফরের সাথে। করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে গত বছর বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। রমজানে সাধারণত সব বিদ্যালয় বন্ধ থাকে কিন্তু এবার সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। স্কুলের পড়ার চাপে খেলাধুলা করতে পারেনি। দু’দিন হলো ঈদের ছুটি দিয়েছে। বাবা মায়ের কর্ম ব্যস্ততার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যেতে পারেনি। সকাল থেকে বায়না ধরছিলাম কিন্তু বৃ্ষ্টির কারণে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। বিকেলে কম থাকায় বাবা মায়ের সাথে এখানে আসা। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মনোরম পরিবেশে খোশ মেজাজে আছে সে।
নগরীর ৬ ও ৭ নং ঘাটে বিকেলের দিকে প্রচুর ভিড় পরিলক্ষিত হয়। সেখানে আবাল বৃদ্ধসহ সকলের উপস্থিতি দেখা যায়। কথা হয় মুফতি মো: হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, কর্মব্যস্ততার কারণে বাচ্চাদের সময় দিতে পারেন না। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সময় পেয়েছেন। বাচ্চাদের সাথে নিয়ে এখানে আসা তার। তবে এখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। তিনি এখানকার পরিবেশ আরও ভাল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এদিকে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য খুলনা জাতিসংঘ শিশুপার্কে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নগরদোলা, চরকিসহ বিভিন্ন উপকরণ সংযুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে খানজাহানআলী সেতুর পুরো এলাকা বিনোদন প্রেমীদের দখলে রয়েছে। তবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।.