মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান এখন শুধু কমেই চলেছে। এক দিনেই ২৫ পয়সা দর হারিয়েছে টাকা। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বুধবার এক ডলার কিনতে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা লেগেছে, যা গতকাল (মঙ্গলবার) ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে সাড়ে ৫-৬ টাকা বেশি দামে। খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৩ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী- এই তিন ব্যাংকই বুধবার ৯২ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করেছে। বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক বিক্রি করেছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এই দাম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল।এরপর থেকেই ডলারের দাম বাড়তে থাকে।
আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানির লাগাম টেনে ধরা ছাড়া ডলারের বাজার স্বাভাবিক হবে না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেও দরে লাগাম টানা যাচ্ছে না। মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ডলার বিক্রি করেই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ১০ মাসে (২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত) ৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার (৪৬০ কোটি টাকা) বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু আশানুরূপ কোনো ফল আসছে না। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমেই যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার ছেড়ে হস্তক্ষেপ করা এটি স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দিতে হবে।