খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১১ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

জীবনের সেরা ঈদের অপেক্ষায় দিঘলিয়ার ৩৫ গৃহহীন পরিবার

একরামুল হোসেন লিপু, দিঘলিয়া

ঈদে সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী কিনবে নতুন পোশাক। কেউ কেউ স্বজন বা প্রিয়জনদের দেবে দামী উপহার। কিন্তু যাদের মাথাটুকু গুঁজতে নিতে হয় অন্যের আশ্রয় তাদের আবার কিসের ঈদ আনন্দ! তবে এবার সে রকম ৩৫ পরিবারের হবে জীবনের সেরা ঈদ। অনেকে জীবনের শেষ সময়ে এসে পাবেন মাথা গোঁজার ঠাঁই। এটাই তাদের জীবনের সবচেয়ে দামী উপহার। সেই উপহারের অপেক্ষায় বসে আছে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৩৫ টি পরিবার। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুবিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশেষ উপহার হিসেবে এ সকল পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করবেন।

দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১ একর ২৮ শতক সরকারী খাস জমি দখলমুক্ত করে সরকারি নির্দেদশা মোতাবেক তৃতীয় পর্যায়ে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ করেছি। এরমধ্যে সেনহাটী ইউনিয়নের হাজীগ্রাম (মোমিনপুর) এলাকায় ৩০ শতাংশ জমির উপর ১১ টি ঘর, বারাকপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ারচর এলাকায় ৫০ শতাংশ জমির উপর১১ টি ঘর, দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন ভৈরব নগর আশ্রয়ন কেন্দ্রের কাছে ১০ শতাংশ জমির উপর ৩ টি ঘর, সেনহাটী ইউনিয়নের পুটিমারী এলাকায় ৮ শতাংশ জমির উপর ৩ টি ঘর, এবং গাজীরহাট ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে ৩০ শতাংশ জমির উপর ৭ টি ঘরের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল বেলা ১১ টায় দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানিকভাবে এ সকল ঘর হস্তান্তর করবেন। এ লক্ষ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১ম এবং ২য় ধাপের তুলনায় ৩য় ধাপের ঘরগুলির নির্মাণ কাঠামোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। প্রতিটা ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫’ শ টাকা। ঘরের সামনের ৩ টি পিলার গ্রেড ভিমসহ টানা লিংটেলসহ আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে। উচ্চতাও বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খুলনা গেজেটকে তিনি আরো বলেন, ১ম পর্যায়ে এ উপজেলায় ৭০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে এবং ২য় পর্যায়ে ৩০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি নির্দেশনা মেনে শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমরা পুনর্বাসিত করেছি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহীত বিশেষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্ষুধামুক্ত -দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত কল্পে ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুন মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬’শ ২২ টি পরিবারের তালিকা করা হয়। (ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেনীর পরিবার ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩’শ ৬১ টি এবং ১-১০ শতাংশ জমি আছে কিন্ত ঘর নেই /জরাজীর্ণ এমন অর্থাৎ ‘খ’ শ্রেনীর পরিবারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ২’শ ৬১ টি)।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারী ১ম পর্যায়ে সারা দেশে ৬৯ হাজার ৯’শ ৪ টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করেন। এরপর একই বছরের ২০জুন ২য় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩’শ ৪০ টি পরিবারকে গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আগামী ২৬ এপ্রিল তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের উপহার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সব ঘর হস্তান্তর করবেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!