ব্যবসা-বাণিজ্যে সাকিবের পথচলা শুরু হয় সাকিব’স ডাইন নামের রেস্টুরেন্ট চালুর মাধ্যমে, ২০১৫ সালে। এরপর একে একে নিজেকে জড়িয়েছেন শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়। পাকাপাকিভাবে সাকিব এবার যাত্রা শুরু করলেন স্বর্ণ ব্যবসায়।
স্বর্ণকে সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে সাকিবের স্বর্ণ ব্যবসার। কিউরিয়াস লাইফ স্টাইলের সঙ্গে যৌথভাবে স্বর্ণ ব্যবসায় নাম লেখানো সাকিব জানালেন, কেন তার এই উদ্যোগ ব্যতিক্রম।
সাকিবের প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বনিম্ন ১ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার কেনা যাবে, আগে যে সুবিধা পেতেন না বাংলাদেশের মানুষ। তিনি বলেন, ‘শেষ ১০০ বছরের রেকর্ড দেখুন, অন্য অনেক কিছুর দাম কমলেও স্বর্ণের দাম কমেনি। তাই টাকার নিরাপত্তার জন্য মানুষ স্বর্ণ কিনতে পারে। আবার গিফট দেওয়ার জন্য নিতে পারে। আমাদের কোম্পানিতে সকল মানুষের সাধ্যের মধ্যে স্বর্ণ কিনতে পাওয়া যাবে।’
ক্রিকেটার হিসেবে সবসময় কাটে ব্যস্ত সময়। এরপর একের পর এক ব্যবসা আর উদ্যোগে জড়ানো সাকিব কীভাবে সামলান এত কিছু? সেই প্রশ্নের উত্তরে রসিকতা নিয়েই কথা বলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম প্রাধান্য সবসময় ক্রিকেট। এমন তো না একটা মানুষের ক্রিকেট খেলার পর আর কোনো সময় থাকে না। যখন খেলায় থাকি না তখন এগুলোতে সময় দেওয়া হয়। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, বেশ কিছু জায়গায় আমি জড়িত থাকলেও কোনো জায়গায় আমাকে অফিস করতে দেখবেন না। হয়ত এরকম এক-দুইটা প্রোগ্রামে আসা হয়। যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু মানুষকে রাখা হয় যারা দায়িত্ব পালন করে। আমার ধারণা, বুদ্ধিমান মানুষেরা এটাই করে থাকে। আমিও নিজেকে একটু হলেও বুদ্ধিমান ভাবি।’